রোমান আহমেদসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পুষ্টিকর সুষম খাদ্য হিসেবে দুধ অতুলনীয়। আর তাই সারা বিশ্বেই দুধের চাহিদা ব্যাপক। তবে চলমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে রয়েছে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশ। ফলশ্রতিতে দৈনন্দিন জীবনে পড়ছে এর প্রভাব। অনেকের কাছেই লকডাউন হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু তা দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে প্রান্তিক কৃষক/খামারীদের জন্য। লক ডাউনের কারণে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে লাখো মানুষের খাদ্য সরবরাহকারীদের। তাদের কেউ কেউ চোখের জলের সাথে বিসর্জন দিচ্ছেন কষ্টের ফসল। এমনটাই ঘটেছিল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোতাজিয়ার দুগ্ধ খামারীদের ক্ষেত্রে। উৎপাদন খরচের অর্ধেকও না পেয়ে উপায়ান্তর না দেখে দুধ ফেলে দিচ্ছিলেন তারা।

বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১২ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ খায়রুল ইসলাম এর নির্দেশক্রমে র্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার লেঃ এম এম এইচ ইমরান এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল এগিয়ে আসেন পোতাজিয়ার দুগ্ধ খামারীদের পাশে।
২৩ এপ্রিল, ২০২০ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ফোর্সেস – ১২ এর মিডিয়া অফিসার লেঃ এম এম এইচ ইমরান গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,”শাহজাদপুরের পোতাজিয়ার দুগ্ধ খামারীদের পাশে দাড়ানো র্যাব-১২ এর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। আজ প্রায় ৩,৫০০ লিটার দুগ্ধ আমরা সংগ্রহ করছি, এর আগেও আমরা ওনাদের নিকট থেকে দুগ্ধ সংগ্রহ করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। এতে করে হয়তো তাদের আর্থিক ক্ষতির কিছুটা অবসান ঘটবে। আমাদের পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য বিত্তবানরা যদি দুগ্ধখামারী ও অন্যান্য প্রান্তিক চাষীদের পাশে এসে দাড়ান, তাহলে আশা করা যায় যে তারা দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে এই কর্মকর্তা তাদেরকে গণমাধ্যমযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই সময়ে তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষী/খামারীদের পাশে যেন সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে আসেন, সে আহবান জানান।