মামলার আসামিরা হলেন প্রত্যাহৃত হওয়া কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহাকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এস এম রাহাতুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫-৪০ জন।
গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যাওয়া, ক্রসফায়ার দেওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর ওপারে নিয়ে যাওয়া ও পরে ডিসির নির্দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাইকোর্ট সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ ও বর্বর নির্যাতনের অভিযোগে দাখিল করা এজাহারটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ এ নির্দেশ দেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ছিল এবং আসামিরা সরকারি উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী, তাই বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমি আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছিলাম। সরকার ও আদালত আমার ন্যায়বিচার–প্রাপ্তিতে যথেষ্ট সচেষ্ট। তারই অংশ হিসেবে এই মামলা রেকর্ড করা হলো। এখন অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন এই জন্য যে যেন সমাজে এটি একটি নজির হয়ে থাকে