কক্সবাজার প্রতিনিধি: ছবির লোকটির নাম আহমদ গিয়াস। পেছনের ‘অট্টালিকা’তে পরিবার নিয়ে থাকেন। চট্টগ্রামের প্রাচীন পত্রিকা দৈনিক আজাদী ও দৈনিক কক্সবাজার প্রত্রিকায় কাজ করেন এবং জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক প্রত্রিকায় কাজ করতেন।যদিওবা বকেয়া বেতনের কারণে ওই পত্রিকা ছেড়েছেন।
আজ অনেকেই তার বেতন না দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া সেসব পত্রিকায় কাজ করে দাপটের সাথে ক্ষমতা প্রয়োগ করছে যদিও এখনো সেসব পত্রিকা থেকে তাদের বেতন দেয় কিনা সন্দেহ!তবুও জাতীয় পত্রিকা তাদের জন্য আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করছে!কিন্তু আহমদ গিয়াস আপাদমস্তক সাদামাটা, নিরহংকার, নির্লোভ ওনৈতিকতায় বলিয়ান এক ব্যক্তি।
জীবনে কারো ক্ষতি করেছেন কিনা জানি না। কাউকে কষ্ট দিতেও দেখিনি।
যতটুকু পেরেছেন উপকার করেছেন। যার সম্মান তাকে দিয়েছেন। পেশায় অনুজদের মনভরে ভালোবাসেন। খোঁজ খবর রাখেন। সংবাদ শেয়ার করেন।তিনি আমার দেখা স্রোতের বিপরীতে বেড়ে ওঠা এক অদম্য মানুষ। তার প্রতিটি লিখনি সত্যনিষ্ঠ ও ক্ষুরধার।অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ দ্রোহ আহমদ গিয়াস।সাংবাদিকতার কলমকে ব্যবহার করেছেন দেশও জাতির জন্য।সংবাদের পেছনের সংবাদ উঠে আসে তার কলমে। লিখনি শক্তি দিয়ে অনেক মানুষের উপকার করেছেন। স্রোতের বিপরীতে চলে নিজেই প্রমাণ করেছেন, চাইলে ভালো থাকা যায়।গিয়াস ভাইয়ের আগে পরে কিংবা একই সাথে যারা সাংবাদিকতায় এসেছে তাদের অনেকেই আজ বাড়ি গাড়ি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।কিন্তু চোখে দেখা আহমদ গিয়াস আগের চাইতে অর্থনৈতিক ভাবে পিছনে গেছে সততার সাথে পেশাটিকে ধরে রাখার জন্য।
শহরের বাসা ভাড়া দিয়ে থাকার মতোও অবস্থা বর্তমানে নেই, তাই হয়তো দরিয়ানগরে একটি কুঁড়েঘরে স্বপরিবারে বসবাস। যতটুকু জানি ভাইয়ে কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যরা মাস শেষে চালসহ প্রয়োজনীয় খরচ বহণ করেন বেশি সময়।যেখানে থাকুক খোঁজ খবর রাখেন আমার, দেখলে একটি ডাক দিয়ে কখনো যাবে না।
এমন মানুষ গুলো রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের প্রেরণা ও আদর্শ
আহমদ গিয়াস আমাদের গর্ব, আমাদের আইডল।
তার জন্য অজস্র দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।