আব্দুল বারী, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাকুরি থেকে অব্যহতিসহ নানা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ ওই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই নিজেকে কখনো প্রকল্প পরিচালক কখনো মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার জন্য ফিট, কখনও নিজেকে সরকারি মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের স্যার হিসেবে দাবি করেন। এছাড়াও তার ষ্টাফদের সাথে অন্যায়-অত্যাচার, জালিয়াতি করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া, অশালীন আচরণ, রোগীদের, গ্রাম ডাক্তারদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। তার এ সকল আচরণে হাসপাতাল ষ্টাফরাও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। মিথ্যা সোশ্যাল সাপোর্ট টাকা আত্মসাৎ নাটক বানিয়ে রাজশাহী প্রকল্প অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে বা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে রিজাইন করিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অনেক ভূয়া কুষ্ঠ রোগির তালিকা প্রদানের অভিযোগসহ এলার্জি রোগীকে কুষ্ঠ রোগী বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। ভুয়া ফলোআপ, আউট কাম, ভুয়া রিপোট, গ্রাম ডাক্তার বিল তৈরি করতে উৎসাহ দেয়া ছাড়াও তার অনেক অপকর্ম ও কু-কৃত্তি আছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ব্যাপারে যক্ষা ও কুষ্ঠ ক্লিনিক মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সাবেক সিনিয়র যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ সহকারি জগদীশ চন্দ্র সরকার গত ১২ এপ্রিল কান্ট্রি ডাইরেক্টর বরাবর, প্রকল্প পরিচালক আরিফ ইফতেখার মান্নান এবং মহাদেবপুর যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দানের অভিযোগ করেন। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে তাকে চাকুরিতে পূনর্বহাল এবং হেল্ধসঢ়;থ বেনিফিটের ৪৫ হাজার টাকা ফেরত পাওয়া সহ দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। প্রকল্প পরিচালক আরিফ ইফতেখার মান্নান জানান, কাউকে চাকুরি দেয়া বা চাকুরিচ্যুত করা এত সহজ কাজ নয়, জগদীশ চন্দ্র সরকার স্বেচ্ছায় চাকুরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তার সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে শুধুমাত্র হেল্ধসঢ়;থ বেনিফিটের টাকা তিনি পাবেন যা মহামারি করোনার কারণে একটু দেরি হচ্ছে।
