বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: চৈত্র মাসের প্রচন্ড খরা ও তীব্র তাপ দহের পর বাগমারাসহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রোববার সকালে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসে আতঙ্ক, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে অসময়ে আধা ঘন্টা ব্যাপী নিরব স্বস্থির বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানা যায়, দেশ বিদেশে করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় সবাই বিপদাপন্ন। মানুষের মধ্যে নেই প্রশান্তি। এর মধ্যেই কৃষকদের মওসুমী ফসল নিয়ে ছিল উৎকন্ঠা। খরাপীড়িত বরেন্দ্র এলাকা রাজশাহীর বাগমারা ও তার পার্শ¦বর্তী এলাকায় বরাবর কম বৃষ্টি হয়। আশানুরুপ বৃষ্টি না হওয়ায় নদ-নদী, খাল-বিল পানি খরা মওসুমের শুরুতে শুন্য হয়ে পড়ে। এতে মারাতœক ঝুঁকি নিয়ে কৃষকরা খরা মওসুমে গভীরও অগভীর নলকূপ দিয়ে ধান, মরিজ, ভূট্রাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে। অতিরিক্ত খরা ও বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বরাবরের মতই কৃষি ক্ষেতের অবস্থা নিয়ে কৃষকরা শঙ্কায় রয়েছে। চৈত্রতে দেখা দেয় খরা ও লোডশেডিং। এসময় বুরো ধান চাষে পানির ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া ভূট্রা, মরিজ, পানবরজে ব্যাপক পানি সেচের প্রয়োজন দেশ বিদেশে করোনাভাইরাসে ফলে এলাকার অফিস-আদালত, হাট-বাজার, ও মাঠে ঘাঠে কাজের বইছে স্থাবরতা। এমতবস্থায় সকালের নিরব টানা আধা ঘন্টা ব্যাপী বৃষ্টিতে জন জীবনে স্বস্থি নিয়ে আসে। বালানগর গ্রামের কৃষক নজরুল, ময়েন উদ্দিন, আব্দুল মান্নানসহ অনেকে জানান, চৈত্রের খরার মধ্যে এমন বৃষ্টিতে এলাকায় ব্যাপক উপকার হয়েছে। বৃষ্টির পানি হবার কারণে অন্তত ৭ দিন বুরো ধান সেচ প্রয়োজন হবে না। প্রচুর পরিমান ভ’ট্রা, মরিজ ও পানবরজে পানির প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। এক দিকে খরা, বিদুৎ বিভ্রাট ও বাজারে ডিজল ক্রয়ের জটিলতায় তারা অস্থির ছিল তেমনি রহমতের বৃষ্টিতে জমিতে জমিতে জমিতে পানি জমে গেছে। এতে করে তাদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে বলে জানান। নন্দনপুর গ্রামের কৃষক আসগর আলী জানান, অসমের এমন বৃষ্টিতে আবহাওয়ার পরির্তন এসে ফসলের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। এতে করে ধানসহ অন্য সকল ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুর রহমান বলেন, অসময়ে বৃষ্টিতে বহু পরিমান উপকার এসেছে। খরা মওসুমে বুরো ধানে পানির চাহিদা কমিয়েছে। এছাড়া ভূটা, মরিজ ও পানবরজসহ মওসুমের ফসলের সেচ কাজ হওয়াতে কৃষকরা অনেক লাভবান