কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:দেশে মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনা দেয়ার নামে সকল জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়ার একদিন পরে উক্ত চিঠি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এ ধরনের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার কারনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের অপসারণ ও পরিচালনা পর্ষদের পূণর্গঠনের দাবি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ (এসএসপি) এর যশোর জেলা সমন্বয়কারী জেমস আব্দুর রহিম রানা এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর অভিযোগ করে বলেন, চিঠিটি প্রত্যাহার করে প্রেস কাউন্সিল দেশের সাংবাদিকদের সাথে প্রতারণা ও চরম দায়িত্বহীনতার প্রমান করলো। এটি সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কাউন্সিলের একধরনের মশকরা। যা সাংবাদিকদের কাছে রীতিমত লজ্জাকর দাবি করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত প্রেস কাউন্সিলটি দীর্ঘদিন ধরে কিছু অযোগ্য লোক দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। যার ফলে প্রেস কাউন্সিল আজ কর্মহীন বুড়ো ঘোড়ায় পরিণত হয়েছে।
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। কিন্তু ২ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজটি আলোর মূখ দেখাতে পারেনি প্রেস কাউন্সিল। সংস্থাটি নানা দলাদলি ও কিছু দালালের কারনে সাংবাদিকদের কোন কাজে আসছেনা। এই মূহুর্তে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সচিব মো: শাহ আলমের অপসারণ জরুরী। পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদটি ভেঙ্গে পূনর্গঠন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে।
জানাগেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর সম্প্রতি সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ ( এসএসপি) এর যশোর জেলা সমন্বয়কারী ও প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার যশোর জেলা প্রতিনিধি জেমস আব্দুর রহিম রানা’র একটি খোলা চিঠি দেন। এরই প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলা- উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা/প্রণোদনা দিতে গত ১৯ এপ্রিল ঢাকাসহ দেশের সকল জেলা প্রশাসকের নিকট ইমেইলে চিঠি পাঠায় প্রেস কাউন্সিল। কিন্তু মাঝখানে একদিন পার না হতেই অর্থ্যাৎ ২১ এপ্রিল অনিবার্য কারন দেখিয়ে হঠাৎ ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
এ ঘটনার খবর গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশের সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীর নিকট ভুলে ভরা মনগড়া একটি তালিকা জমা দিয়েছেন সেই সংগঠনের সুবিধাবাদি নেতৃবৃন্দ । এ ঘটনায় দেশব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে সারাদেশের কর্মরত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আগামিকাল ২৩ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর নিকট বিএমএসএফ ও এসএসপি’র মাধ্যমে পূনরায় স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
সংগঠনদ্বয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, দেশের এই সংকটময় অবস্থায় সাংবাদিকরা সরকারের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু সাংবাদিকদের নিয়ে এই ধরনের প্রতারণা নেহায়েত অন্যায় ও লজ্জাকর। তাই এই অবস্থায় একমাত্র ভরসাস্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন বিএমএসএফ ও এসএসপি একটি নিরপেক্ষ ঘোষণা চায়।