খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলার রামগড় উপজেলায় অবস্থিত পাহাড়অঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণার নাম দিয়ে গাছের ডালপালা কাটতে গিয়ে বাগানের দীর্ঘদিনের পুরনো গাছ কেটে শ্রমিকদের মাঝে লারকি করে প্রতিমণ ২০/৩০ টাকা করে বিক্রি করতেছেন কৃষি গবেষণা কর্তৃপক্ষ। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে মালিকানা বা কোন সরকারি দপ্তরের গাছ কাটা বা বিক্রি করতে হলে দপ্তরের হেড অফিসের লিখিত পত্র বা বন বিভাগের লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অনুমতি লাগে । পাহাড় অঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রর কর্তৃপক্ষ কৃষি অধিদপ্তরের ও বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গবেষণার জন্য ডালপালা কাটার নাম দিয়ে কর্তৃপক্ষের নিজেস্ব ক্ষমতায় বাগানের বহুদিনের পুরনো আম বয়রা সাফালিষ সহ বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে বিক্রির মহউৎসবে মেতে ওঠেছেন।এতে করে বাগান থেকে হারিয়ে যাচ্ছ সরকারের মুল্যবান সম্পদ। সরজমিনে দেখা গেছে শ্রমিক সাহেব আলী,বাবুল চৈত্রী,সাবেক শ্রমিক আলী হোসেন এর স্ত্রী সুফিয়া বেগম লাকরি কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন বলে তারা জানান।
বিশেষ সুত্রে জানা গেছে হেড অফিসের কোন লিখিত অনুমতি ছাড়া ও বন বিভাগের আইন অমান্য করেই এবং কোন অনুমতি ছাড়াই কৃষি গবেষণায় গাছ কাটার ধুম পড়েছে,কেউ কিছু যেনো না বুঝতে পারে সেই জন্য মুল গেইট দিয়ে কাটা গাছ বের না করে বাগানের পিঁছনের গেইট দিয়ে পাবলিক পরিবহনে করে বিক্রি,র কাজও প্রক্রিয়ায় রয়েছে ।আর ডাল পালাগুলা বাগানের শ্রমিকের কাছে লারকি,র মন হিসাবে বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রামগড় উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা এহিয়ার আহমেদ জানান সরকারি গাছ বিক্রির জন্য হলে স্ব স্ব দপ্তর থেকে আমাদের দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় তার পর আমরা উপজেলা পর্যায় হলে বিক্রি র জন্য মুল্য নির্ধারণ করে দিই।আর লাকরি হলে বলে দিই তার মুল্য কত হবে।রামগড় পাহাড় অঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে র অধিদপ্তর থেকে আমাদের কাছে কোন চিঠি আসে নাই।কি ভাবে ওনারা গাছ কাটছে এ বিষয়ে জানাননি।অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বৈধ না।
পাহাড় অঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান অফিস সহকারী সুনিল দাস বলেন আমি ছুটিতে আছি।আর গাছের বিষয়ে কোন তথ্য আমার কাছে নেই।তবে এবিষয়ে স্যার বলতে পারে।
রামগড় পাহাড় অঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল (অশ্রু ) মুঠোফোনে বলেন আমি অফিসের কাজে চট্রগ্রাম আছি। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন গবেষণার স্বার্থে বড় গাছের শুধুমাত্র কয়েকটি ডাল পালা কাটার জন্য বলেছি।তবে পুরো গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত নয়। যেহুতু আপনাদের মাধ্যমে পুরো গাছ কাটার ও লাকরি বিক্রিই বিষয়ে শুনলাম। বিস্তারিত আমি বাহিরে থাকার কারণে কিছুই জানিনা, আমি আসলে বিষয়টি দেখবো।