নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অনলাইন প্রেস ক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাগর চৌধুরীকে নিজ এলাকায় ‘মোবাইল চোর’ সাজিয়ে ফেসবুকে লাইভ দিয়ে উল্লাস করেছে দূর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম হায়দারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া পুত্র নাবিল ও তার সহযোগিতা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে।
বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে একেরপর এক সাংবাদিক নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে দ্রুত আইন প্রণয়ন করা না হলে পেশাটি দূর্বল ও নিস্তেজ হয়ে অস্তিত্ব হারাবে। রাষ্ট্রের স্বার্থেই সরকারকে পেশাটি রক্ষায় আইন প্রণয়ন করা জরুরী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত সোমবার ঝালকাঠিতে এক সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল মিলে তিন সাংবাদিকের ওপর পৈচাশিক হামলা চালায়। এ সময় হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গোটা সাংবাদিক সমাজের ইজ্জ্বতে কালিমা লেপন করেছে। ওই হামলাকারী দলে ওখানকার স্থানীয় আককাস সিকদার নামের এক সাংবাদিকও অংশ নেয় বলে জানাযায়।
সাগর চৌধুরী ২০০২ সাল থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করেছেন। ভোলায় তিনি বিবিসি, এটিএন বাংলায় প্রতিনিধিত্ব করেন। ঢাকায় তিি এনটিভি, জিটিভি, বাংলাভিশন ও আরটিভিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানাগেছে। বর্তমানে তিনি একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদনা করছেন এবং বাংলাদেশ অনলাইন প্রেস ক্লাবের কেন্দ্রের সভাপতির দায়িত্ব পালণ করছেন।
সাগর চৌধুরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুঠোফোনে বিএমএসএফকে জানান, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাবিল ফোন করে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। কিছুক্ষন পরে মোবাইল চুরির নাটক সাজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে লাইভ চালায়।
লাইভে সাগরকে বলতে শোনা যাচ্ছিল ‘নাবিল তুমি এগুলো কি করছো’! তবুও থামছিল না ওরা। এ সময় তাকে রাস্তায় প্রকাশ্যে টেনে হিচড়ে মারধর করে জামা ছিড়ে ফেলে এবং লাঞ্ছিত করে। সাগর সম্প্রতি করোনা চলাকালে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি বোরহানউদ্দিনে যায়।